শিলা

Cards (10)

  • শিলা:বিভিন্ন খনিজ পদার্থের মিশ্রণে গঠিত ভূত্বকের ওপর যে কঠিন স্তর তাকে শিলা বলে।যেমন:গ্রানাইট,মার্বেল ইত্যাদি।
  • নিঃস্বারী আগ্নেয় শিলা:ভূগর্ভের উত্তপ্ত তরল ম্যাগমা ফাটলের মধ্য দিয়ে লাভা প্রবাহরূপে ভূপৃষ্ঠে এসে পৌঁছানোর পর শীতল বাতাসের সংস্পর্শে এসে দ্রূত শীতল কঠিন হয়ে যে আগ্নেয় শিলা গঠন করে তাকে নিঃস্বারী আগ্নেয় শিলা বলে।
  • লাভা শিলা:ভূগর্ভস্থ উত্তপ্ত তরল ম্যাগমা ভূত্বকের কোনো ফাটল বা আগ্নেয়গিরির মধ্যে দিয়ে লাভা প্রবাহরূপে ভূপৃষ্ঠে এসে দ্রুত শীতল ও জমাট হয়ে লাভা শিলা গঠন করে।যেমন:ব্যাসাল্ট।
    দ্রুত জমাট বাঁধার কারণে লাভা শিলার কণাগুলো খুব সূক্ষ্মঘনসন্নিবিষ্ট হয়।
  • পাইরোক্লাস্টিক শিলা: আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাতের সময় আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখআগ্নেয়গিরির গায়ে পূর্বেকার জমে থাকা কঠিন লাভা,ভস্ম ইত্যাদি নির্গত হয়।লাভার সঙ্গে নির্গত এইসব প্রস্তরখণ্ড,ভস্ম ইত্যাদি বাইরের শীতল বাতাসের সংস্পর্শে এসে সংকুচিত ও শীতল হয়ে পাইরোক্লাস্টিক শিলা গঠন করে।যেমন:পরফাইরি।
  • উদবেধী শিলা: ভূগর্ভস্থ গলিত ম্যাগমা ফাটলের মধ্য দিয়ে বা অগ্ন্যুৎপাতের সময় আগ্নেয়গিরির মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসতে না পেরে অনেক সময় ভূগর্ভেই জমাট বাঁধতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে শীতলকঠিন হয়ে শিলার রূপ ধারণ করে।এই প্রকার শিলাকে উদবেধী শিলা বলে।যেমন:গ্রানাইট।
  • পাতালিক শিলা: উদবেধী শিলা যদি ভূপৃষ্ঠের বহু নীচে (10-40কিমি.) গঠিত হয় তাকে পাতালিক শিলা বলে। অত্যন্ত ধীরে ধীরে জমাট বাঁধার কারণে এই প্রকার শিলার দানাগুলো খুব বড় হয়।যেমন:ডলোরাইট।
  • উপপাতালিক শিলা: অনেক সময় ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা ফাটলের মধ্য দিয়ে ভূপৃষ্ঠের উপরে আসার সময় ভূপৃষ্ঠের কাছে এসে জমাট বাঁধে। এইরূপ শিলাকে উপপাতালিক শিলা বলে।এই জাতীয় শিলার দানাগুলো পাতালিক শিলার অপেক্ষা ছোট কিন্তু নিঃস্বারী শিলা অপেক্ষা বড়।যেমন:ডায়োরাইট।
  • ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগের শিলাসমূহ বৃষ্টিপাত, বায়ুপ্রবাহ,হিমবাহ ইত্যাদি ক্ষয়কারি বস্তুর প্রভাবে প্রতিনিয়ত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে বায়ুকণা, ধূলিকণা,কাদা ইত্যাদিতে পরিণত হয়।এইসব ক্ষয়প্রাপ্ত পদার্থসমূহ নদীর জলে দ্রবীভূত হয়ে পলল এ পরিণত হয় ও নদী দ্বারা বাহিত হয়ে নদীর তলদেশে বা অগভীর সমুদ্রে স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়। এগুলো কালক্রমে ওপরের জল ও পলির চাপে এবং ভূঅভ্যন্তরের তাপে নীচ থেকে ওপরের দিকে জমাট বেঁধে কঠিন হয়ে যে শিলা গঠন করে তাকে পাললিক শিলা বলে।
    এই শিলায় স্তর দেখা যায় বলে একে স্তরীভূত শিলা বলে।
    আগ্নেয় শিলা ক্ষয় পেয়ে ও জমাট বেঁধে পরবর্তীকালে এই শিলা গঠন করে বলে একে পরবর্তী শিলা বলে।
  • সংঘাত শিলা: প্রাথমিক শিলা ও অন্যান্য শিলা হিমবাহ,বায়ু, নদী ইত্যাদি প্রাকৃতিক শক্তির ঘাত-প্রতিঘাতে শিলাচূর্ণে পরিণত হয়। পরবর্তীকালে এগুলো বায়ু, নদী,সমুদ্রতরঙ্গ ইত্যাদির দ্বারা অপসারিত হয়ে সমুদ্র, নদী বা হ্রদের তলদেশে পলিরূপে স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়। কালক্রমে ওপরের জল ও পলির চাপে এবং ভূঅভ্যন্তরের তাপে নীচ থেকে এগুলো জমাট বেঁধে যে শিলা গঠন করে তাকে সংঘাত পাললিক শিলা বলে।যেমন:কংগ্লোমারেট।
  • অসংঘাত শিলা:যেসব পাললিক শিলা রাসায়নিক উপায়ে গঠিত বা জৈবিক উপায়ে সৃষ্ট তাদের অসংঘাত শিলা বলে।যেমন: চুনাপাথর।